ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বাঘায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 125

রাজশাহী (বাঘা) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করলেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা।

গতকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাঘা থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মায় সরেজমিনে এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৮টি ট্রাককে দুইশত টাকা করে জরিমানা করে বালু উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তে নারায়নপুর সড়কঘাট এলাকার কামালদিয়াড় ও কালিদাসখালী মৌজার পদ্মা নদীর কোল ঘেষে ফসলি জমির পাশ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে কতিপয় প্রভাবশালীরা।

এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ, অপরদিকে কৃষকরা ধারণা করছেন সামনের বর্ষা মৌসুমে সমস্ত ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। একই সাথে এলাকার ঘর-বাড়ি ও গাছপালা ভাঙ্গারও আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এই মর্মে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীসহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন নারায়নপুর সড়কঘাট এলাকার শতাধিক বাসিন্দা এবং বালুর ট্রাকে নিহত স্কুলছাত্রের পিতা গোলাম কাদের।

তারা অভিযোগে বলেন, কতিপয় প্রভাবশালী এবার বর্ষা মৌসুমের পর থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মাসোহারা দিয়ে অবৈধভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন করে চলেছে। ফলে একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে রাস্তা-ঘাট নষ্ট হওয়াসহ স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জীবনমান বিপন্ন হচ্ছে।

নদী তীরবর্তী এলাকার কৃষক আব্দুস ছামাদ, হাফিজুর রহমান, কাশেম প্রামানিক ও আনজারুল হাসানসহ অনেকেই বলেন, বর্তমানে যারা বালু উত্তোলন করছে, তারা সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তারা প্রভাব খাটিয়ে এলাকার কৃষকদের বাধা উপেক্ষা ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে রাত-দিন সমানে এতোদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল।

নিরুপায় হয়ে আমরা গ্রামবাসী গত মাসের ২৮ তারিখ স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। সেই অভিযোগ সত্যতার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেন তিনি।

সেই সুপারিশের পর মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, “জেলা প্রশাসক ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বাঘার পদ্মায় যে স্থানে বালু উত্তোলনের নির্দেশ রয়েছে, সেই স্থানটির নাম রাজাপুর চক’। অথচ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে কালিদাসখালি মৌজার অন্তর্গত নারায়নপুর সড়কঘাট এলাকার পদ্মায়।

আমি গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে অবৈধভাবে বালু তোলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৮টি ট্রাকের প্রতিটিকে দুইশত টাকা করে জরিমানা করেছি এবং বালু উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করে এসেছি।”

বাঘায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

প্রকাশিত সময় ০৯:১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

রাজশাহী (বাঘা) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করলেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা।

গতকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাঘা থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মায় সরেজমিনে এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৮টি ট্রাককে দুইশত টাকা করে জরিমানা করে বালু উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তে নারায়নপুর সড়কঘাট এলাকার কামালদিয়াড় ও কালিদাসখালী মৌজার পদ্মা নদীর কোল ঘেষে ফসলি জমির পাশ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে কতিপয় প্রভাবশালীরা।

এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ, অপরদিকে কৃষকরা ধারণা করছেন সামনের বর্ষা মৌসুমে সমস্ত ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। একই সাথে এলাকার ঘর-বাড়ি ও গাছপালা ভাঙ্গারও আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এই মর্মে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীসহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন নারায়নপুর সড়কঘাট এলাকার শতাধিক বাসিন্দা এবং বালুর ট্রাকে নিহত স্কুলছাত্রের পিতা গোলাম কাদের।

তারা অভিযোগে বলেন, কতিপয় প্রভাবশালী এবার বর্ষা মৌসুমের পর থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মাসোহারা দিয়ে অবৈধভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন করে চলেছে। ফলে একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে রাস্তা-ঘাট নষ্ট হওয়াসহ স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জীবনমান বিপন্ন হচ্ছে।

নদী তীরবর্তী এলাকার কৃষক আব্দুস ছামাদ, হাফিজুর রহমান, কাশেম প্রামানিক ও আনজারুল হাসানসহ অনেকেই বলেন, বর্তমানে যারা বালু উত্তোলন করছে, তারা সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তারা প্রভাব খাটিয়ে এলাকার কৃষকদের বাধা উপেক্ষা ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে রাত-দিন সমানে এতোদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল।

নিরুপায় হয়ে আমরা গ্রামবাসী গত মাসের ২৮ তারিখ স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। সেই অভিযোগ সত্যতার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেন তিনি।

সেই সুপারিশের পর মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, “জেলা প্রশাসক ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বাঘার পদ্মায় যে স্থানে বালু উত্তোলনের নির্দেশ রয়েছে, সেই স্থানটির নাম রাজাপুর চক’। অথচ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে কালিদাসখালি মৌজার অন্তর্গত নারায়নপুর সড়কঘাট এলাকার পদ্মায়।

আমি গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে অবৈধভাবে বালু তোলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৮টি ট্রাকের প্রতিটিকে দুইশত টাকা করে জরিমানা করেছি এবং বালু উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করে এসেছি।”