ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে এনজিও কর্মকর্তা নিখোঁজ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 140

ঈশ্বরদী ও লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতাঃ ঈশ্বরদীতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা নিউ এরা ফাউন্ডেশনের মাঠ কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন (৪৫) নিখোঁজের ৭ দিন পরেও কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ হতে সংবাদ সম্মেলনে গুমের অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার ঈশ্বরদীর সীমান্তবর্তী লালপুর উপজেলার এবি ইউনিয়নের শ্রীরামগাড়িতে নিখোঁজ শাহাদত হোসেনের নিজ বাড়িতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধি, পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহাদতের ভাই শুকুর আলী বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি শাহাদত হোসেন নিউ এরা ফাউন্ডেশনের অফিস হতে কিস্তি তোলার জন্য বের হয়ে আর অফিসে ফিরে আসেনি বলে নিউ এরা’র ৪ কর্মকর্তা সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে এসে খোঁজ করেন।

ঘটনা জানার পর আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল জায়গার খোঁজ নেয়ার পর রাতে জিডি করার জন্য ঈশ্বরদী থানায় যাই। কিন্তু থানার ওসি মামলা না নিয়ে জানান নিউ এরার পক্ষ হতে জিডি করা হয়েছে।

আমরা দফায় দফায় নিউ এরা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, প্রকল্প সমন্বয়কারী, কর্মকর্তা ও এরিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা শাহদতের কোন খোঁজ না দিয়ে শুধু তাদের টাকার কথা বলছে। শাহাদত নিখোঁজের বিষয়টি তারা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে না।

শাহাদতের ব্যবহৃত মটরসাইকেল দাশুড়িয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুকুর বলেন, কোন মাঠ কর্মকর্তা কিস্তি তুলতে গেলে তাঁর ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে যান, কিন্তু শাহাদতের ব্যাগ অফিসেই ছিল। তাহলে সে কিস্তি তুলতে গেল কিভাবে?

তিনি আরো বলেন, আমার ভাই একজন নিরীহ ও শান্ত প্রকৃতির মানুষ। শাহাদত ও মা দু’জনই ছিল এক সংসারে। বেতনের অধিকাংশ টাকা সে নিউ এরার ফান্ডেই জমা রাখতো এবং সেখানে তার একটি ডিপিএস ছিল। শাহাদতের চিন্তায় আমার বৃদ্ধা মা খাওয়া ছেড়ে বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন শাহদতকে গুম করা হয়েছে এবং এই নিখোঁজ হওয়ার পেছনে নিউ এরা ফাউন্ডেশন জড়িত আছে বলে আমি মনে করি। আমরা এ ব্যাপারে আমরা আদালতের আশ্রয় নিবো।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, এবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, সাবেক চেয়ারম্যান আবেদ আলী, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম।

এসময় শাহাদতের মা মরিয়ম বেগম, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানসহ এলাকার শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

নিউ এরা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মোস্তাক আহমেদ কিরণ বলেন, শাহাদতের নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। শাহাদতের কাছে তাদের নগদ ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৫ টাকা ছিল। শাহাদত পালিয়েছে এ বিষয়ে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত।

ঈশ্বরদীতে এনজিও কর্মকর্তা নিখোঁজ

প্রকাশিত সময় ০৮:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ঈশ্বরদী ও লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতাঃ ঈশ্বরদীতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা নিউ এরা ফাউন্ডেশনের মাঠ কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন (৪৫) নিখোঁজের ৭ দিন পরেও কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ হতে সংবাদ সম্মেলনে গুমের অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার ঈশ্বরদীর সীমান্তবর্তী লালপুর উপজেলার এবি ইউনিয়নের শ্রীরামগাড়িতে নিখোঁজ শাহাদত হোসেনের নিজ বাড়িতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধি, পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহাদতের ভাই শুকুর আলী বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি শাহাদত হোসেন নিউ এরা ফাউন্ডেশনের অফিস হতে কিস্তি তোলার জন্য বের হয়ে আর অফিসে ফিরে আসেনি বলে নিউ এরা’র ৪ কর্মকর্তা সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে এসে খোঁজ করেন।

ঘটনা জানার পর আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল জায়গার খোঁজ নেয়ার পর রাতে জিডি করার জন্য ঈশ্বরদী থানায় যাই। কিন্তু থানার ওসি মামলা না নিয়ে জানান নিউ এরার পক্ষ হতে জিডি করা হয়েছে।

আমরা দফায় দফায় নিউ এরা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, প্রকল্প সমন্বয়কারী, কর্মকর্তা ও এরিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা শাহদতের কোন খোঁজ না দিয়ে শুধু তাদের টাকার কথা বলছে। শাহাদত নিখোঁজের বিষয়টি তারা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে না।

শাহাদতের ব্যবহৃত মটরসাইকেল দাশুড়িয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুকুর বলেন, কোন মাঠ কর্মকর্তা কিস্তি তুলতে গেলে তাঁর ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে যান, কিন্তু শাহাদতের ব্যাগ অফিসেই ছিল। তাহলে সে কিস্তি তুলতে গেল কিভাবে?

তিনি আরো বলেন, আমার ভাই একজন নিরীহ ও শান্ত প্রকৃতির মানুষ। শাহাদত ও মা দু’জনই ছিল এক সংসারে। বেতনের অধিকাংশ টাকা সে নিউ এরার ফান্ডেই জমা রাখতো এবং সেখানে তার একটি ডিপিএস ছিল। শাহাদতের চিন্তায় আমার বৃদ্ধা মা খাওয়া ছেড়ে বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন শাহদতকে গুম করা হয়েছে এবং এই নিখোঁজ হওয়ার পেছনে নিউ এরা ফাউন্ডেশন জড়িত আছে বলে আমি মনে করি। আমরা এ ব্যাপারে আমরা আদালতের আশ্রয় নিবো।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, এবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, সাবেক চেয়ারম্যান আবেদ আলী, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম।

এসময় শাহাদতের মা মরিয়ম বেগম, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানসহ এলাকার শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

নিউ এরা ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মোস্তাক আহমেদ কিরণ বলেন, শাহাদতের নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। শাহাদতের কাছে তাদের নগদ ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৫ টাকা ছিল। শাহাদত পালিয়েছে এ বিষয়ে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত।