ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

অনূর্ধ্ব-১৯ ফাইনালে জয়ের পরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের উত্তপ্ত আচরণ (ভিডিও সহ)

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:২৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 140

ছবিঃ টুইটার

গত ৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত অনূর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। রবিবারের ফাইনালের শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের প্রতি আক্রমণাত্মক ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুই বোলার শরিফুল ইসলাম ও তাঞ্জিম হাসান নতুন বলে দারুণ বোলিং করেন।

রাকিবুল হাসান জয়সূচক রানটি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়ে আনন্দে বাঁধনহারা হয়ে মাঠে নেমে আসেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। সেই সময় ভারতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বাদানুবাদ শুরু হয়। সামান্য ধাক্কাধাক্কিও দেখা যায়। ভারতীয় এক খেলোয়াড়কে দেখা যায় বাংলাদেশী খেলোয়াড়কে ধাক্কা মারতে।

আম্পায়াররা কোনও কোনও খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে পরবর্তিতে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ভারতীয় খেলোয়াড়দের ভাষ্যমতে, খেলা শেষ হওয়ার পরে যখন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা মাঠে নেমে আসেন তাঁদের শারীরিক ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক। তাদের দাবী এক বাংলাদেশি খেলোয়াড় অশ্রাব্য ভাষায় ভারতীয়দের আক্রমণ করলে তাদের এক খেলোয়াড় সেই খেলোয়াড়কে ধাক্কা মারে।

পরে ভারতীয় কোচ পরশ মামরে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।

বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক আকবর আলি অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। তিনি তাঁর তরফ থেকে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যা হয়েছে, তা হওয়া উচিত ছিল না। আমি জানি না ঠিক কী হয়েছে। আমি জিজ্ঞেসও করিনি কী হচ্ছে। তবে এ তো জানাই, ফাইনালে আবেগ একটু বেশিই থাকে। ছেলেরাও একটু বেশি উত্তেজিত থাকে, আবেগ ধরে রাখতে পারে না। তবে তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে এমনটা হওয়া উচিত নয়। যে কোনও অবস্থায়, যে কোনও পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত প্রতিপক্ষকে সম্মান দেখানো। খেলাটার প্রতিও শ্রদ্ধা থাকা দরকার। কেন‌না ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। আমি দলের তরফ থেকে ক্ষমা চাইছি।’




তিনি আরও বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ খেলা হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। আমি বলছি না এমনটা হওয়া উচিত। আমি আমার দলের তরফ থেকে দুঃখিত।’
ভারত অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ বলেন, ‘আমরা ঠিকই ছিলাম। হারা-জেতা খেলার অংশ। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল তা খারাপ। এটা হওয়া উচিৎ নয়।’

ভারতীয় কোচ পরশ মামরে বলছেন, ‘উত্তেজনায় এমনটা মাঝে মাঝে হয়ে যায়। খেলোয়াড়রা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। যা ঘটেছে তা ভাল হয়নি। আমি মনে করি ক্রিকেটের জন্য এটি ভাল নয়। আমি মনে করি ভবিষ্যতে ক্রিকেটারদের এধরনের আচরনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিৎ।’

তথ্য সূত্রঃ পিটিআই

অনূর্ধ্ব-১৯ ফাইনালে জয়ের পরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের উত্তপ্ত আচরণ (ভিডিও সহ)

প্রকাশিত সময় ০১:২৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

গত ৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত অনূর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। রবিবারের ফাইনালের শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের প্রতি আক্রমণাত্মক ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুই বোলার শরিফুল ইসলাম ও তাঞ্জিম হাসান নতুন বলে দারুণ বোলিং করেন।

রাকিবুল হাসান জয়সূচক রানটি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়ে আনন্দে বাঁধনহারা হয়ে মাঠে নেমে আসেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। সেই সময় ভারতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বাদানুবাদ শুরু হয়। সামান্য ধাক্কাধাক্কিও দেখা যায়। ভারতীয় এক খেলোয়াড়কে দেখা যায় বাংলাদেশী খেলোয়াড়কে ধাক্কা মারতে।

আম্পায়াররা কোনও কোনও খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে পরবর্তিতে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ভারতীয় খেলোয়াড়দের ভাষ্যমতে, খেলা শেষ হওয়ার পরে যখন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা মাঠে নেমে আসেন তাঁদের শারীরিক ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক। তাদের দাবী এক বাংলাদেশি খেলোয়াড় অশ্রাব্য ভাষায় ভারতীয়দের আক্রমণ করলে তাদের এক খেলোয়াড় সেই খেলোয়াড়কে ধাক্কা মারে।

পরে ভারতীয় কোচ পরশ মামরে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।

বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক আকবর আলি অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। তিনি তাঁর তরফ থেকে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যা হয়েছে, তা হওয়া উচিত ছিল না। আমি জানি না ঠিক কী হয়েছে। আমি জিজ্ঞেসও করিনি কী হচ্ছে। তবে এ তো জানাই, ফাইনালে আবেগ একটু বেশিই থাকে। ছেলেরাও একটু বেশি উত্তেজিত থাকে, আবেগ ধরে রাখতে পারে না। তবে তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে এমনটা হওয়া উচিত নয়। যে কোনও অবস্থায়, যে কোনও পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত প্রতিপক্ষকে সম্মান দেখানো। খেলাটার প্রতিও শ্রদ্ধা থাকা দরকার। কেন‌না ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। আমি দলের তরফ থেকে ক্ষমা চাইছি।’




তিনি আরও বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ খেলা হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। আমি বলছি না এমনটা হওয়া উচিত। আমি আমার দলের তরফ থেকে দুঃখিত।’
ভারত অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ বলেন, ‘আমরা ঠিকই ছিলাম। হারা-জেতা খেলার অংশ। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল তা খারাপ। এটা হওয়া উচিৎ নয়।’

ভারতীয় কোচ পরশ মামরে বলছেন, ‘উত্তেজনায় এমনটা মাঝে মাঝে হয়ে যায়। খেলোয়াড়রা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। যা ঘটেছে তা ভাল হয়নি। আমি মনে করি ক্রিকেটের জন্য এটি ভাল নয়। আমি মনে করি ভবিষ্যতে ক্রিকেটারদের এধরনের আচরনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিৎ।’

তথ্য সূত্রঃ পিটিআই