সিরাজগঞ্জে গোলাপসহ বিভিন্ন ফুল চাষ করে সাবলম্বি হচ্ছে অনেকেই
- প্রকাশিত সময় ০২:১৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / 110
আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ জোটে যদি একটি পয়সা খাদ্য কিনিও ক্ষুধারলাগি, জোটে যদি দুটি তবে কিনিও ফুল হে-অনুরাগী। কবির এই স্লোগকে কেন্দ্র করেই সিরাজগঞ্জে শুরু হয়েছে ফুল চাষ।
ঢাকার সাভার, গাজীপুর এবং দক্ষিণের যশোর জেলার পর এখন সিরাজগঞ্জেও শুরু হয়েছে আধুনিক পদ্বতিতে ফুল চাষ। আর ফুল চাষের মাধ্যমে চাষিরা তাদের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি সৃষ্টি করেছে অনেক লোকের কর্মসংস্থান। আর এই ফুল চাষে লাভ বেশি হওয়াতে প্রতি বছর ফুল বাগানের সীমানা বাড়াতে ব্যস্ত প্রান্তিক ফুল চাষিরা। তবে তাদের মতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা আরো লাভবানসহ আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হবে। অপরদিকে কৃষি বিভাগ ও উপজেলা পরিষদ ফুল চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে বদ্ধ পরিকর।
সরেজমিনে জানাগেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নরে একডালা গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম কয়েক বছর আগে ৩বিঘা জমিতে বগুড়া ও উল্লাপাড়া থেকে কিছু গোলাপ, গ্ল্যাডিয়াস, রজনীগন্ধা ও গাধা ফুরের চারা নিয়ে ফুল চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে ফুল চাষের মাধ্যমে তারা লাভবান হচ্ছে বুঝতে পেরে আরো জমি ভাড়া নিয়ে তারা ব্যাপক ভাবে চাষাবাদ করে। এতে বর্তমানে তারা প্রায় ১০ বিঘা জমিতে দেশী-বিদেশী গোলাপ, গাদাসহ রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিয়াস ফুলের ব্যাপক চাষ করছে। আর প্রতি নিয়ত ফুলের বাজার দখল করতে বেশি বেশি উৎপাদন বৃদ্ধির কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। তাদের বাগান দেখতে প্রতিদিন দুর দুরান্ত থেকে আসছে দর্শনার্থী।
বর্তমানে ১০বিঘা জমি থেকে গোলাপসহ অন্যান্য ফুল বিক্রি করে প্রতি বছর সকল খরচ বাদ দিয়ে ৪ থেকে ৫লাখ টাকা আয় করছে। যা অন্য ফসলের চেয়ে অনেক বেশি। সিরাজগঞ্জ-বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা পরিবহণের মাধ্যমে ফুল বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেউ বাগান থেকে ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যেকোন উৎসব, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জাতীয় দিবসসহ বিয়ের পার্বনে ফুলের চাহিদা থাকায় তাদের দেখে অনেক বেকার যুবক ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
সিরাজগঞ্জ কৃষি বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে ফুল চাষিদের সরকারি বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ আধুনিক চাষাবাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। একই সাথে উপজেলা পরিষদ তাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে এবং প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে আশ্বাস প্রদান করছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে আমি ফুলবাগন পরিদর্শন করেছি এবং কৃষি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি যে, প্রযুক্তিগত সরকারি সকল প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের সাবলম্বী করতে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রোস্তম আলী জানান, সিরাজগঞ্জে অতিতে কোন ফুলচাষি ছিলোনা। বর্তমানে দুইজন ফুল চাষি তারা নিজ উদ্যোগে চাষ শুরু করে এবং কৃষি বিভাগের দৃষ্টি কাড়ে। আমরা ইতোমধ্যে বাগান পরিদর্শনের মাধ্য অন্য কৃষকদের ফুল চাষে আগ্রহী করতে চেষ্টা করছি এবং ট্রেনিং এর সময় তাদের বাগান পরিদর্শন করিয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।