ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

জীবন যুদ্ধে বিজয়ী দুহাত বিহীন মিরাজের গল্প

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 184

ফজলুল হক, পাবনাঃ পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম হয় মিরাজুল ইসলামের। মিরাজুল ইসলামের পিতা মোঃ তোরাব আলী ও মাতা মোছাঃ সূর্য্য খাতুন।

মিরাজের পিতা জানান, আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে তাদের মধ্যে ছোট ছেলেটার জন্ম থেকেই দুইটি হাত নেই। জন্ম থেকে দুটি হাত না থাকা সত্যেও থেমে থাকেনি মিরাজ, ২য় শ্রেণিতে পড়া কালীন সময়ে “মাই টিভির” আমরাও পারি নামক একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে মিরাজ।

শারীরিক ভাবে বিকলাঙ্গ হওয়ায় মিরাজকে অনেকই অবহেলা করেছে। এমনকি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভর্তি নিতে রাজি ছিলেন না। পরবর্তিতে পা দিয়ে লিখে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে স্কুলে ভর্তি হয় মিরাজ। দুটি হাত না থাকা সত্যেও পা দিয়ে সব ধরনের কাজ করতে পারে মিরাজ।

গ্রাম অঞ্চলের অনেকেই মিরাজের জন্মকে বৃথা বলে আখ্যায়িত করেছিল। কিন্তু সেই মিরাজ তার মনের প্রবল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। মিরাজুল ইসলাম আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে। সে পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিক পরীক্ষায় “এ” গ্রেড পেয়ে কৃতকার্য হয়।

বর্তমানে সে পাবনা জেলার একটি সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ১ম বর্ষের ছাত্র।

মিরাজের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে মিরাজ জানান,’কাউকে কখনো ছোট করে দেখবেন না, মানুষ চেষ্টা করলে সব কিছুই করতে পারে। কেউ ইচ্ছা করে প্রতিবন্ধী হয় না, সবাই আল্লাহ্‌র সৃষ্টি।

আমাদের সমাজে এই মিরাজের মতো অনেকেই আছে যাদেরকে আমরা অবহেলা করি কিন্তু এদের দরকার একটু সহানুভূতি আর ভালোবাসা। তাহলেই এরা অনুপ্রাণিত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই আসুন আমরা সবাই এদের পাশে দাঁড়াই এবং অবহেলিত মানুষদের স্বপ্ন পূরণের অংশিদার হই।

জীবন যুদ্ধে বিজয়ী দুহাত বিহীন মিরাজের গল্প

প্রকাশিত সময় ০৭:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ফজলুল হক, পাবনাঃ পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম হয় মিরাজুল ইসলামের। মিরাজুল ইসলামের পিতা মোঃ তোরাব আলী ও মাতা মোছাঃ সূর্য্য খাতুন।

মিরাজের পিতা জানান, আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে তাদের মধ্যে ছোট ছেলেটার জন্ম থেকেই দুইটি হাত নেই। জন্ম থেকে দুটি হাত না থাকা সত্যেও থেমে থাকেনি মিরাজ, ২য় শ্রেণিতে পড়া কালীন সময়ে “মাই টিভির” আমরাও পারি নামক একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে মিরাজ।

শারীরিক ভাবে বিকলাঙ্গ হওয়ায় মিরাজকে অনেকই অবহেলা করেছে। এমনকি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভর্তি নিতে রাজি ছিলেন না। পরবর্তিতে পা দিয়ে লিখে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে স্কুলে ভর্তি হয় মিরাজ। দুটি হাত না থাকা সত্যেও পা দিয়ে সব ধরনের কাজ করতে পারে মিরাজ।

গ্রাম অঞ্চলের অনেকেই মিরাজের জন্মকে বৃথা বলে আখ্যায়িত করেছিল। কিন্তু সেই মিরাজ তার মনের প্রবল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। মিরাজুল ইসলাম আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে। সে পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিক পরীক্ষায় “এ” গ্রেড পেয়ে কৃতকার্য হয়।

বর্তমানে সে পাবনা জেলার একটি সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ১ম বর্ষের ছাত্র।

মিরাজের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে মিরাজ জানান,’কাউকে কখনো ছোট করে দেখবেন না, মানুষ চেষ্টা করলে সব কিছুই করতে পারে। কেউ ইচ্ছা করে প্রতিবন্ধী হয় না, সবাই আল্লাহ্‌র সৃষ্টি।

আমাদের সমাজে এই মিরাজের মতো অনেকেই আছে যাদেরকে আমরা অবহেলা করি কিন্তু এদের দরকার একটু সহানুভূতি আর ভালোবাসা। তাহলেই এরা অনুপ্রাণিত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই আসুন আমরা সবাই এদের পাশে দাঁড়াই এবং অবহেলিত মানুষদের স্বপ্ন পূরণের অংশিদার হই।