ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভারতের নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ৪ আসামীর ফাঁসি ৩ মার্চ সকালে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 126

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের বহুল আলোচিত নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত চার আসামীর ফাঁসির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে ভারতীয় আদালত। আগামী ৩ মার্চ ভোর ৬টায় তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির আদালত আজ সোমবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। এ পর্যন্ত ৩য় বারের মতো ফাঁসির তারিখ ঘোষণা করা হলো। এর আগে দুবার ফাঁসির তারিখ ঘষনা করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত হয়।

চার আসামীই সম্ভাব্য সব আইনি সুযোগ ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। তিহার জেল কর্তৃপক্ষ আজ সোমবার আদালতকে জানায়, চারজনের মধ্যে তিনজন তাঁদের সব আইনি সুযোগ ব্যবহার করে ফেলেছেন এবং তাঁদের কোনো আবেদন কোনো আদালতে অমীমাংসিত অবস্থায় নেই। এরপরই আদালত ফাঁসি কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করেন।

৪ জনের মধ্যে ১ জন এখনো রাষ্ট্রপতির খারিজ করা প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিরুদ্ধে আবেদন করেনি। তবে হাইকোর্টের দেওয়া এক সপ্তাহ সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর তার আবেদন করার কোন সুযোগ নেই।

আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নির্ভয়ার মা বলেন, ‘আমি আশা করি এটিই ফাঁসির চূড়ান্ত তারিখ হবে।’ অপরাধীদের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আদালতের দেওয়া এক সপ্তাহের মেয়াদ শেষ হতেই ফাঁসির নতুন তারিখ জারি করার জন্য আদালতে আর্জি জানান নির্ভয়ার মা-বাবা।

এদিকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দায়ের করেছিলেন চার আসামীর একজন বিনয় শর্মা। তাঁর দাবি ছিল, জেলে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে তার মানসিক স্বাস্থ্যের যে অবনতি ঘটেছে, সেটি রাষ্ট্রপতি বিবেচনায় নেয়নি। তবে আসামীর করা পিটিশন গত সপ্তাহে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর থেকেই আসামী বিনয় শর্মা দিল্লির তিহার জেলে অনশন শুরু করেন।

এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী ও ১ ফেব্রুয়ারী দুবার আসামীদের ফাঁসির তারিখ ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারনে তা শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চারজন ছাড়াও এই গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পঞ্চম অপরাধী রাম সিং কারাগারে আত্মহত্যা করেন। আর অপরাধ করার সময় ষষ্ঠ অপরাধীর বয়স ১৮ বছরের কম থাকায় তাঁকে সংশোধনাগারে রাখার তিন বছর পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের তরুণী নির্ভয়া তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দক্ষিণ দিল্লিতে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে একটি বাসে নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করার পর লোহার রড দিয়ে কয়েক ঘণ্টা শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্ভয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর গোটা ভারত ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে।

সূত্রঃ এনডিটিভি।

ভারতের নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ৪ আসামীর ফাঁসি ৩ মার্চ সকালে

প্রকাশিত সময় ১২:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের বহুল আলোচিত নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত চার আসামীর ফাঁসির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে ভারতীয় আদালত। আগামী ৩ মার্চ ভোর ৬টায় তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির আদালত আজ সোমবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। এ পর্যন্ত ৩য় বারের মতো ফাঁসির তারিখ ঘোষণা করা হলো। এর আগে দুবার ফাঁসির তারিখ ঘষনা করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত হয়।

চার আসামীই সম্ভাব্য সব আইনি সুযোগ ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। তিহার জেল কর্তৃপক্ষ আজ সোমবার আদালতকে জানায়, চারজনের মধ্যে তিনজন তাঁদের সব আইনি সুযোগ ব্যবহার করে ফেলেছেন এবং তাঁদের কোনো আবেদন কোনো আদালতে অমীমাংসিত অবস্থায় নেই। এরপরই আদালত ফাঁসি কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করেন।

৪ জনের মধ্যে ১ জন এখনো রাষ্ট্রপতির খারিজ করা প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিরুদ্ধে আবেদন করেনি। তবে হাইকোর্টের দেওয়া এক সপ্তাহ সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর তার আবেদন করার কোন সুযোগ নেই।

আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নির্ভয়ার মা বলেন, ‘আমি আশা করি এটিই ফাঁসির চূড়ান্ত তারিখ হবে।’ অপরাধীদের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আদালতের দেওয়া এক সপ্তাহের মেয়াদ শেষ হতেই ফাঁসির নতুন তারিখ জারি করার জন্য আদালতে আর্জি জানান নির্ভয়ার মা-বাবা।

এদিকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দায়ের করেছিলেন চার আসামীর একজন বিনয় শর্মা। তাঁর দাবি ছিল, জেলে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে তার মানসিক স্বাস্থ্যের যে অবনতি ঘটেছে, সেটি রাষ্ট্রপতি বিবেচনায় নেয়নি। তবে আসামীর করা পিটিশন গত সপ্তাহে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর থেকেই আসামী বিনয় শর্মা দিল্লির তিহার জেলে অনশন শুরু করেন।

এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী ও ১ ফেব্রুয়ারী দুবার আসামীদের ফাঁসির তারিখ ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারনে তা শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চারজন ছাড়াও এই গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পঞ্চম অপরাধী রাম সিং কারাগারে আত্মহত্যা করেন। আর অপরাধ করার সময় ষষ্ঠ অপরাধীর বয়স ১৮ বছরের কম থাকায় তাঁকে সংশোধনাগারে রাখার তিন বছর পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের তরুণী নির্ভয়া তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দক্ষিণ দিল্লিতে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে একটি বাসে নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করার পর লোহার রড দিয়ে কয়েক ঘণ্টা শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্ভয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর গোটা ভারত ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে।

সূত্রঃ এনডিটিভি।