প্রথমবারের মতো সৌদি নারীরা হজ্বের সময় মক্কায় পাহারায় নিয়জিত
- প্রকাশিত সময় ০৭:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
- / 190
স্বতঃকণ্ঠ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ করোনা মহামারী সংকটের মধ্যে এবারের হজ্ব মৌসুমে মক্কার নারীদের কাবার নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়।
পবিত্র কাবা শরীফে নিয়োজিত নারী নিরাপত্তা কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টারস।
পবিত্র কাবা গৃহে হজ্ব পালনকারীদের নিরাপত্তায় নিয়জিত কর্মী মোনা তার সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রয়াত পিতার কর্মজীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সামরিক বাহিনী এবং সৌদি মহিলা সৈন্যদের প্রথম দলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যারা ইসলামের পবিত্রতম স্থানে কাজ করেন, যেখানে তারা হজ্ব পালনকারীদের সুরক্ষিত করতে সহায়তা করছেন।
মোনা আরও বলেন, আমি আমার প্রয়াত বাবারপদক্ষেপ অনুসরণ করছি, এখানে পবিত্রতম স্থান মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে দাঁড়িয়ে আছি। হজ্ব পালনকারীদের সেবা করা একটি অত্যন্ত মহৎ এবং সম্মানজনক কাজ।
এপ্রিল থেকে কয়েক ডজন মহিলা সৈন্য ইসলামের জন্মস্থান মক্কা ও মদিনায় হজ্ব পালনকারীদের পর্যবেক্ষণকারী নিরাপত্তা সেবার অংশ হয়ে উঠেছে।
এসব নারী নিরাপত্তা কর্মীদের সামরিক খাকি ইউনিফর্ম পরিহিত, হিপ-লেংথ জ্যাকেট, আলগা ট্রাউজার এবং চুল ঢাকা ওড়নার উপর একটি কালো বেরেট সহ, মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রক্ষণশীল মুসলিম রাজ্যের আধুনিকীকরণ এবং বৈচিত্র্যের অভিযানের অধীনে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে জোর দিয়েছেন।
ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত তার সংস্কার পরিকল্পনার অধীনে, যুবরাজ নারীদের উপর থেকে গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই ভ্রমণকরার অনুমতি দেয় এবং পারিবারিক বিষয়ে তাদের আরও নিয়ন্ত্রণ দেয়।
কিন্তু এই সংস্কার পরিকল্পনার সাথে নারী অধিকার কর্মীদের ভিন্নমতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর প্রতিক্রিয়ায় বিদেশ থেকে আসা লক্ষ লক্ষ হজ্ব পালনকারীদেরকে বাদ দিয়ে সৌদি আরবে টানা দুই বছর হজ্ব পালিত হল।
সমর নামে আরেকজন নারী সৈনিক কাবার কাছে হজ্ব পালনকারীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। সমর বলেন, মনোবিজ্ঞান অধ্যয়নের পর তার পরিবার তাকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিত করে।
তিনি আরও বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল সাফল্য এবং ধর্ম, দেশ এবং আল্লাহর ঘরের অতিথিদের সেবায় থাকা সবচেয়ে বড় গর্বের ব্যাপার।
সূত্রঃ রয়টারস।